যৌথ মঞ্চের ডাকা রাজ্যব্যপী বনধের সমর্থণে এগিয়ে এল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন
বাঁকুড়াঃ রাজ্য কোষাগার থেকে বেতন প্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন গুলির যৌথ মঞ্চের ডাকা রাজ্যব্যপী বনধের সমর্থণে এগিয়ে এলো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। শুক্রবার ঐ সংগঠনের কর্মীরাও কাজ বন্ধ রেখে পৌরসভার দপ্তরে সামনে আন্দোলনে সামিল হয়েছে। তাদের এই ধর্মঘটকে শাসক দলের কাউন্সিলরা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন, এমনকি এদিন কাজে যোগ না দিলে 'ছাঁটাই'য়ের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ৩৭৬ টাকা দৈনিক বেতনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বিষ্ণুপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঐ টাকা দিতে কেন তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে। আর তা না করতে পারলে 'ব্যর্থ' পদাধিকারীদের নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহঃ সেলিম এই মুহূর্তে দলীয় কর্মসূচীতে বিষ্ণুপুরে আছেন। তিনি বলেন, গত ১২ বছরে পুলিশ, প্রশাসন, গুণ্ডা, আমলাদের দিয়ে কম হুমকি দেওয়া হয়নি। জেল, জরিমানা, বদলি,খুন, হুমকি দিয়েও কি হয়েছে? মানুষের মেজাজ আরো চড়া হয়েছে। সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক যাঁরা সরকারী কোষাগার থেকে বেতন পান তাঁরা আন্দোলন করছেন। সরকারী কোষাগার থেকে যাঁরা লুঠ করছেন তারা হুমকি দিচ্ছেন। মানুষ ঐ হুমকিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র ধর্মঘট করার অধিকার সবার আছে। আজ ধর্মঘটে অংশ নিলে আগামী কাল কাজে যোগ দিতে দেবোনা, এটা স্বৈরাচারি মনোভাবের প্রকাশ। শাসক দলের এই মনোভাবে ধর্মঘটীরা যাতে ভয় না পান তার আবেদন জানান তিনি।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছেনা, অথচ তারা যখন আন্দোলনে নেমেছে তখন দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কেউ কেউ কোটি কোটি টাকা লুঠ করে খাবে, গরীব মানুষ মার খাবে এটা চলতে পারেনা বলে তিনি দাবি করেন।
Mar 10 2023, 15:04